নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে রতন (৩৮) নামের এক যুবককে গলা কেটে হত্যার ঘটনায় প্রধান আসামি ইয়ানুছ (৪০) কে কুড়িগ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১১।
বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে র্যাব এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
র্যাব জানায়, গতকাল (২ জুলাই) কুড়িগ্রাম সদর থানার পাচগাছি হারুগারা ইউনিয়নের আরাজী এলাকা থেকে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। ইয়ানুছ নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ থানার বরাব মুগড়াকুল এলাকার মৃত নবু মিয়ার ছেলে।
র্যাব-১১-এর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ইয়ানুছ স্বীকার করেন, নিহত রতনের সঙ্গে তার পূর্বপরিচয় ছিল এবং দুজনই মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ছিলেন। এই ব্যবসাকে কেন্দ্র করে তাদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। প্রায় দুই বছর আগে তাদের মধ্যে একবার সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটে, যাতে রতন আহত হন। হত্যাকাণ্ডের প্রায় ১৫ দিন আগেও তাদের মধ্যে নতুন করে বিরোধ সৃষ্টি হয়।
পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী, গত ১৭ জুন ভোরে ৩নং আসামি হাসেম (৪০) ও ৪নং আসামি ইলিয়াছ (৩০)-এর সহযোগিতায় রতনকে ডেকে নেয় ইয়ানুছ। এরপর তাকে মারধর করে গুরুতর আহত করা হয় এবং পরবর্তীতে গলা ও হাত-পায়ের রগ কেটে মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়। হত্যাকাণ্ডে মোট আটজন জড়িত ছিল। তারা রতনের মরদেহ খালে ফেলে পালিয়ে যায়।
ঘটনার পরদিন, ১৭ জুন সকালে সোনারগাঁও উপজেলার ভারগাঁও এলাকার ওলামা নগর খালপাড়ের বেড়িবাঁধের পূর্ব পাশ থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় রতনের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত রতন নারায়ণগঞ্জ জেলার কাঁচপুর এলাকার বাসিন্দা এবং সোনারগাঁয়ের নাওড়া বিটা এলাকার একটি বাড়িতে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে ভাড়া থাকতেন।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ইয়ানুছ দীর্ঘদিন আত্মগোপনে ছিল এবং সে পাশের দেশে পালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিল। গ্রেপ্তারের পর তাকে সোনারগাঁও থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। মামলার অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।