যশোর শহরের শংকরপুরে একটি ঘরের ভেতরে বোমা বিস্ফোরণে খাদিজা নামে চার বছরের একটি শিশু নিহত হয়েছে। এই ঘটনায় আহত হয়েছে তার বড় ভাই সাত বছরের সজীব।
সোমবার (১৯ মে) সকাল ৮টার দিকে শংকরপুর গোলপাতা মসজিদের পাশে নূর-উন-নবীর বস্তিতে এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত খাদিজা ও আহত সজীবের বাবা শহিদুল গাজী, যিনি আত্মহত্যা করেন। পরে তার ছোট ভাই শাহাদত গাজী, শহিদুলের স্ত্রী সুমি বেগমকে বিয়ে করেন। বর্তমানে শিশুরা এই দম্পতির সাথেই বসবাস করছিল।
দাদী মনোয়ারা বেগম জানান, সকালে তিনি ও তার পুত্রবধূ সুমি বেগম উঠানে বসে নাস্তা করছিলেন। হঠাৎ তারা ঘরের ভেতর থেকে বিকট শব্দ শুনতে পান এবং দেখেন ঘর থেকে ধোঁয়া বের হচ্ছে। ভেতরে গিয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় খাদিজা ও সজীবকে ছটফট করতে দেখেন তারা। দ্রুত যশোর জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ঢাকায় স্থানান্তরের পথে খাদিজার মৃত্যু হয়।
যশোর জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক শাকিরুল ইসলাম জানান, বোমার আঘাতে খাদিজার হাত ও বুকে মারাত্মক জখম হয়। সজীবের শরীরেও বিস্ফোরণের ছড়িয়ে পড়া স্প্লিন্টারের আঘাত রয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ওই ঘরের পাশেই থাকেন চিহ্নিত সন্ত্রাসী মুসা ওরফে সাগরের মা। অভিযোগ উঠেছে, শাহাদতের ঘরেই মুসা বোমা তৈরি করতেন। ধারণা করা হচ্ছে, মুসার তৈরি কোনো বোমা দুর্ঘটনাবশত বিস্ফোরিত হয়ে এই ঘটনা ঘটেছে।
ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। যশোরের পুলিশ সুপার রওনক জাহান জানান, বোমার প্রকৃতি নিশ্চিত হতে সেনাবাহিনীর বোমা বিশেষজ্ঞদের ডাকা হয়েছে। বোমা তৈরির সঙ্গে জড়িতদের শনাক্ত করে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এই ঘটনায় এলাকায় চরম আতঙ্ক ও শোকের ছায়া নেমে এসেছে।