1. live@www.skymediabd.com : news online : news online
  2. info@www.skymediabd.com : স্কাই মিডিয়া বিডি :
শুক্রবার, ০২ মে ২০২৫, ১১:০২ অপরাহ্ন
শিরোনাম:
সিলেটের কোম্পানীগঞ্জে ছোট ভাই হত্যার চারদিন পর প্রধান আসামি আপন বড় ভাই গ্রেপ্তার মীরসরাইয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে বিএনপি নেতার মৃত্যু বন্ধুকে ফাঁসিয়ে হবু স্ত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে ছাত্রদল নেতা আটক অপহরণ ঠেকাতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত যুবদল কর্মী, শেষ হয়ে গেল সৌদি যাওয়ার স্বপ্ন কার্ডিফে দারুস সুন্নাহ মাদ্রাসার প্যারেন্টস মিটিং সফলভাবে অনুষ্ঠিত সুনামগঞ্জে তুচ্ছ ঘটনার জেরে যুবক খুন, অভিযুক্ত আটক আ.লীগ রাজনীতি করবে কিনা সিদ্ধান্ত নেবে জনগণ মেয়েকে উত্ত্যক্তের প্রতিবাদে বাবাকে হত্যার ঘটনায় রাজশাহীতে আরও দুই আসামি গ্রেপ্তার তারেক রহমানকে দেশে ফিরতে না দেওয়ার চক্রান্ত চলছে: জয়নুল আবদিন ফারুক নবম শ্রেণির মাদরাসাছাত্রী অপহরণ: মতিউর রহমান মতির ১৪ বছরের কারাদণ্ড

সুমনকে হত্যার পরিকল্পনা করেন সাঈদ, অংশ নেয় ৫ জনের ‘কিলার গ্রুপ’

স্কাই মিডিয়া বিডি :
  • Update Time : বুধবার, ২৬ মার্চ, ২০২৫

রাজধানীর গুলশান ও বাড্ডা এলাকার চাঁদাবাজি নিয়ন্ত্রণ নিয়ে স্থানীয় মেহেদী ও রবিন নামের দুটি সন্ত্রাসী গ্রুপের দ্বন্দ্ব চলছিল। এই বিরোধের জেরে মেহেদীর নির্দেশে ইন্টারনেট সংযোগ ব্যবসায়ী সুমন মিয়া ওরফে টেলি সুমনকে হত্যার পরিকল্পনা করা হয়।

 

এ জন্য গঠন করা হয় পাঁচজনের একটি ‘কিলার গ্রুপ’। পরিকল্পনা অনুযায়ী ২০ মার্চ সুমনকে গুলি করে হত্যা করেন তারা।

 

হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদে এসব তথ্য জানা গেছে। গ্রেপ্তাররা হলেন – হত্যাকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড মো. ওয়াসির মাহমুদ সাঈদ ওরফে বড় সাঈদ (৫৯) ও হত্যায় সরাসরি অংশ নেওয়া মামুন ওরফে বেলাল (৪২)।

মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) র‌্যাব-১ এর অভিযানিক দল র‌্যাব-৮ এর অভিযানিক দলের সহযোগিতায় মাস্টারমাইন্ড মো. ওয়াসির মাহমুদ সাঈদ ওরফে বড় সাঈদকে পটুয়াখালী থানার চৌরাস্তা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে মামুন ওরফে বেলালকে টঙ্গী পূর্ব থানা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

 

বুধবার (২৬ মার্চ) দুপুরে র‌্যাব-১ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ জাহিদুল করিম এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, গুলশান এলাকার বিভিন্ন মার্কেটের দোকানে চাঁদাবাজির বিষয় নিয়ে মেহেদী গ্রুপের সঙ্গে রবিন গ্রুপের সুমনের বিরোধের সৃষ্টি হয়। এ বিরোধের জেরে মেহেদী গ্রুপের প্রধান মেহেদীর নির্দেশে সুমনকে হত্যা করার পরিকল্পনা করে মো. ওয়াসির মাহমুদ সাঈদ ওরফে বড় সাঈদ।

 

র‌্যাব-১ এর অধিনায়ক বলেন, মেহেদী নামের এক ব্যক্তি মো. ওয়াসির মাহমুদ সাঈদ ওরফে বড় সাঈদের মাধ্যমে একটি সন্ত্রাসী বাহিনী গঠন করে বিগত কয়েক বছর ধরে গুলশান ও বাড্ডা এলাকায় চাঁদাবাজি করে আসছিলেন। ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর মেহেদী পালিয়ে যায়। মেহেদী পালিয়ে গিয়ে তার বাহিনীর সদস্য মো. ওয়াসির মাহমুদ সাঈদের মাধ্যমে গুলশান ও বাড্ডা এলাকার চাঁদা সংগ্রহ করতেন। কিন্তু সরকার পতনের পর অন্য একটি সন্ত্রাসী গ্রুপ রবিন গ্রুপের হয়ে সুমন গুলশান বাড্ডা এলাকায় চাঁদাবাজি শুরু করে। গুলশান এলাকার বিভিন্ন মার্কেটের দোকানে চাঁদাবাজির বিষয় নিয়ে মেহেদী গ্রুপের সঙ্গে রবিন গ্রুপের সুমনের বিরোধের সৃষ্টি হয়।

 

এ বিরোধের কারণে মেহেদী গ্রুপের প্রধান মেহেদীর নির্দেশে সাঈদ সুমনকে হত্যা করার পরিকল্পনা করে। মামলার ৮/১০ দিন আগে সাঈদ সুমনকে হত্যার উদ্দেশে বিল্লাল ও মামুনের নেতৃত্বে মেহেদী গ্রুপের ৪/৫ জন সন্ত্রাসী দিয়ে একটি কিলার গ্রুপ গঠন করে। মেহেদী গ্রুপের সদস্যরা প্রতিদিন সুমনের ওপর নজর রাখতে থাকে।

 

র‌্যাব-১ এর অধিনায়ক আরও বলেন, হত্যাকাণ্ডের দিন ২০ মার্চ সন্ধ্যার দিকে মেহেদী গ্রুপের একটি কিলার গ্রুপ সাঈদের বাসায় মিটিং করে এবং তার বাসা থেকে অস্ত্র নিয়ে গুলশান এলাকায় যায়। গুলশান এলাকায় গিয়ে সুমনকে গোপনে খুঁজতে থাকে এবং রাত সাড়ে ৯টার দিকে তার বাহিনীর সদস্যরা সুমনকে গুলশান-১ পুলিশ প্লাজার সামনে ফজলে রাব্বি পার্কের সামনে বসা অবস্থায় দেখতে পেয়ে গুলি করে। গুলির পর প্রাণ বাঁচাতে সুমন দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করলে সন্ত্রাসীরা তাকে আরও কয়েকটি গুলি করে।

 

লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ জাহিদুল করিম বলেন, সুমনের মৃত্যু নিশ্চিত করে সন্ত্রাসীরা কৌশলে পালিয়ে যায়। আত্মগোপনে চলে যাওয়ার চেষ্টা করে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) র‌্যাব-১ এর অভিযানিক দল র‌্যাব-৮ এর অভিযানিক দলের সহযোগিতায় মাস্টারমাইন্ড মো. ওয়াসির মাহমুদ সাঈদ ওরফে বড় সাঈদকে পটুয়াখালী থানা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে। বড় সাঈদের তথ্যে অনুযায়ী এই কিলিং মিশনে মামুন ওরফে বেলালসহ আরও কয়েকজন সরাসরি অংশগ্রহণ করে। সাঈদের তথ্যমতে মামুন ওরফে বেলালকে টঙ্গী পূর্ব থানা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

 

ঘটনার সঙ্গে জড়িত বাকি পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তার এবং এ ঘটনায় ব্যবহৃত অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের জন্য অভিযান অব্যাহত আছে বলে জানান র‌্যাব-১ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল মোহাম্মদ জাহিদুল করিম।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2024-2025 skymediabd.com
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট