স্বামীর নির্যাতনের শিকার হয়ে শরীরে আগুন দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করা গৃহবধূ ফাতেমা আক্তার (২৬) পাঁচদিন চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে অবশেষে মারা গেছেন।
ফাতেমা উপজেলার ১ নম্বর সৈয়দপুর ইউনিয়নের উত্তর বগাচতর গ্রামের মো. মুসলিমের স্ত্রী এবং তিন সন্তানের জননী। গত ১৪ জুন বিকেলে স্বামীর বাড়িতে দীর্ঘদিনের পারিবারিক নির্যাতনে অতিষ্ঠ হয়ে তিনি নিজের শরীরে আগুন ধরিয়ে দেন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি করা হয়।
চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৮ জুন (বুধবার) রাত ১১টার দিকে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
সীতাকুণ্ড থানার এসআই মো. জাফর ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, “শরীরে আগুন দেওয়া গৃহবধূ ফাতেমা আক্তার চমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে এবং আইনি প্রক্রিয়া চলছে।”
ঘটনার পর থেকে স্বামী মো. মুসলিম পলাতক বলে জানা গেছে। পরিবার ও এলাকাবাসী অভিযোগ করছেন, ফাতেমা দীর্ঘদিন ধরে স্বামীর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের শিকার ছিলেন। ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও ন্যায়বিচারের দাবি জানিয়েছে ফাতেমার পরিবার।
এ ঘটনায় এলাকাজুড়ে শোক ও ক্ষোভের ছায়া নেমে এসেছে।