সিলেটের গোলাপগঞ্জে একজন শিশু (১১) সন্ধ্যার সময় দোকান থেকে বাড়ি ফেরার পথে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে জনৈক ব্যক্তির ফাঁকা বাড়ির তালা ভেঙ্গে জোরপূর্বক ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে ধর্ষিতার মা বাদি হয়ে গোলাপগঞ্জ মডেল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ২ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন।
পুলিশ ইতিমধ্যে ধর্ষক সেলিম মিয়া (৪৫)কে মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) রাতে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে । ঘটনাটি ঘটে শনিবার সন্ধায় উপজেলার গোয়াসপুর-রুইগড় এলাকার রানাপিং শাহী ঈদগাহ এর পাশে।
গ্রেপ্তারকৃত সেলিম মিয়া উপজেলার গোলাপগঞ্জ সদর ইউনিয়নের রুইগড় (হাজারীবাড়ী) গ্রামের জিতু মিয়ার ছেলে। মামলায় অপর আসামি একই থানার দখারপাড়া গ্রামের মঈন উদ্দিনের ছেলে এহসান আহমদ।
মামলার বিবরণ ও ভূক্তভোগী পরিবার সূত্রে জানা যায়, শনিবার সন্ধ্যায় গোলাপগঞ্জ সদর ইউনিয়নের চৌঘরী বাজার থেকে চা পাতা ও দুধ ক্রয় করার জন্য পরিবারের লোকজন শিশুকে বাজারে পাঠায়। শিশুটি বাজার থেকে ফিরতে দেরি হওয়ায় পরিবারের লোকজন খুঁজতে গিয়ে এলাকার পাশ্ববর্তী রানাপিং বাজারের শাহী ঈদগাহের পাশে রাস্তার উপর শিশুর পরনের জুতা ও চা-পাতা এবং দুধ খুঁজে পান। এতে তাঁদের মধ্যে সন্দেহের উদ্রেক হয়। কিন্তু আশেপাশের বাড়িসহ সম্ভাব্য সকল স্থানে অনেক খোঁজাখুঁজির পরও শিশুটিকে পাওয়া যায়নি।
রবিবার (৭ সেপ্টেম্বর) রাত ৩ঘটিকার দিকে শিশুটিকে বসত বাড়ির গেইটের ভিতরে পরণের পায়জামায় রক্তাক্ত ও অজ্ঞান অবস্থায় পাওয়া যায়। তাৎক্ষণিকভাবে উদ্ধার করে গোলাপগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসিতে প্রেরণ করেন।
হাসপাতালে শিশুটির জ্ঞান ফেরার পর পরিবারের লোকদের জানায়, সে বাজার থেকে দুধ ও চা পাতা ক্রয় করে বাড়িতে ফেরার সময় গোয়াসপুর-রুইগড় রানাপিং শাহী ঈদগাহ সংলগ্ন রাস্তা থেকে এহসান আহমদ ও সেলিম মিয়া তার মুখ চেপে ধরে মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে শাহী ঈদগাহ সংলগ্ন জনৈক ব্যক্তির বসত ঘরের তালা ভেঙে ভিতরে নিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে।
এ ঘটনায় ধর্ষিতার মা বাদি হয়ে গোলাপগঞ্জ মডেল থানায় ধর্ষক সেলিম মিয়া ও তার সহযোগি এহসান আহমদসহ দুই জনকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ এর ৭/(৯)/৩০ ধারায় মামলা (নম্বর ৪ তারিখ ০৯/০৯/২০২৫) দায়ের করেছেন। পুলিশ মঙ্গলবার রাতে ধর্ষক সেলিম মিয়াকে গ্রেপ্তার করে বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে।
এ ব্যাপারে গোলাপগঞ্জ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মনিরুজ্জামান মোল্ল্যা জানান, ধর্ষণের সাথে জড়িত একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে
এবং আরেজনকে গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।