বগুড়া সদর উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক অতুল চন্দ্র দাস (৫০) গত বুধবার (৩০ জুলাই) দিনগত রাতে মুখোশধারী দুর্বৃত্তদের সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয়েছেন। রাত সাড়ে ১১টার দিকে সদর উপজেলার সাবগ্রাম হাট এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটে। অতুল চন্দ্র দাস আশঙ্কাজনক অবস্থায় বর্তমানে রাজধানী ঢাকায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে জানা গেছে, শহরের নবাববাড়ি সড়কে বিএনপির দলীয় কার্যালয় থেকে মোটরসাইকেলে করে বাড়ি ফিরছিলেন অতুল। পথিমধ্যে সাবগ্রাম হাটে একটি দোকান থেকে ওষুধ কিনছিলেন তিনি। ঠিক তখনই চারটি মোটরসাইকেলে করে অন্তত আটজন মুখোশধারী দুর্বৃত্ত অতুলের ওপর ধারালো অস্ত্র নিয়ে অতর্কিতে হামলা চালায়।
দুর্বৃত্তরা অতুলকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় ফেলে রেখে পালানোর সময় স্থানীয়রা এগিয়ে এলে তারা আগ্নেয়াস্ত্র বের করে কয়েক রাউন্ড গুলি ছোড়ে। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর উন্নত চিকিৎসার জন্য রাতেই ঢাকায় পাঠানো হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সাবগ্রাম এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে অতুল চন্দ্র দাসের সঙ্গে একই এলাকার জুয়েল দাসের বিরোধ চলে আসছে। উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ২৫ অক্টোবর রাতে সাবগ্রাম দুর্গা মন্দির প্রাঙ্গণে সম্রাট দাস নামে এক যুবক খুন হন। তিনি জুয়েল দাসের ছোট ভাই এবং স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক নেতা ছিলেন। সেই ঘটনার পর থেকেই দুই পরিবারের মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধি পায়।
বগুড়া জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আবু হাসান বলেন, “এটি পরিকল্পিত হত্যাচেষ্টা। অতুলের মাথায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা হয়েছে। হামলাকারীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার করা না হলে আমরা কঠোর আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করব।”
বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান বশির জানান, হামলাকারীরা সবাই মুখোশ পরিহিত ছিল। তাদের শনাক্ত করতে পুলিশের একাধিক দল কাজ করছে। এছাড়া এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
এই ঘটনায় এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে এবং সাধারণ মানুষের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। পুলিশ দ্রুত তদন্ত করে দোষীদের গ্রেপ্তারের আশ্বাস দিয়েছে।