রাজধানীর তুরাগে রাইদা বাস ডিপোর মালিক আনোয়ার হোসেন সিকদার (৫৩) হত্যার পর মাটি চাপা দিয়ে মরদেহ গুম করা হয়েছিল বলে জানিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
ব্যবসায়িক বিরোধ, বিশেষ করে বাস কেনাবেচা সংক্রান্ত লেনদেনকে কেন্দ্র করেই এ হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে বলে জানায় পুলিশ। এই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে তুরাগ থানা পুলিশ। গ্রেপ্তাররা হলেন— মো. সবুজ ফকির (২৮), কালাম (২২) ও মো. শাকিল (১৮)।
সোমবার (২৬ মে) ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে উত্তরা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মো. মহিদুল ইসলাম জানান, রোববার আশুলিয়া ও দিয়াবাড়ি এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারদের তথ্যের ভিত্তিতে হত্যায় ব্যবহৃত একটি লোহার পাইপও উদ্ধার করা হয়েছে।
ডিসি মহিদুল ইসলাম জানান, গত ১৭ জানুয়ারি সকাল ৯টার দিকে আনোয়ার হোসেন বাস ডিপোর উদ্দেশে বাসা থেকে বের হয়ে আর ফিরে আসেননি। পরদিন তার স্ত্রী শিউলি আক্তার তুরাগ থানায় একটি নিখোঁজ সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।
তদন্তে নেমে পুলিশ তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় অভিযুক্তদের শনাক্ত করে। তাদের দেওয়া তথ্যে ডিপোর ভেতরে টিনের বেড়ার পাশে মাটি খুঁড়ে আনোয়ারের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তারা সবাই রাইদা বাসের চালক ছিলেন। পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী ১৭ জানুয়ারি সকাল ১১টার দিকে আনোয়ার হোসেনকে প্রথমে লোহার পাইপ দিয়ে মাথায় আঘাত করা হয়, পরে ছুরি দিয়ে গলায় আঘাত করে তাকে হত্যা করা হয়। এরপর মরদেহ ডিপোর মাটির নিচে পুঁতে রাখা হয়।
নিহতের স্ত্রী শিউলি আক্তার বাদী হয়ে তুরাগ থানায় তিনজনসহ আরও ৫–৬ জনকে অভিযুক্ত করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।