কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার উজিরপুর ইউনিয়নের জগমোহনপুর গ্রামে স্ত্রীর পাঠানো ডিভোর্স লেটার পেয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন আজিজুল হক রবিন (৩০) নামের এক যুবক। তিনি ওই গ্রামের আবুল খায়েরের ছেলে।
রোববার (১৫ জুন) সকালে বাড়ির পাশের একটি গাছে তার ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পান স্থানীয়রা। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চৌদ্দগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ হিলাল উদ্দিন আহমেদ।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রায় আট বছর আগে রবিনের সঙ্গে পার্শ্ববর্তী সদর দক্ষিণ উপজেলার গোয়ালগাঁও গ্রামের নাছিমা আক্তারের বিয়ে হয়। তাদের ছয় বছর বয়সী এক কন্যাসন্তান রয়েছে। বিয়ের পর থেকেই পরকীয়ার সন্দেহকে কেন্দ্র করে তাদের দাম্পত্য জীবনে কলহ লেগেই থাকত।
ঝগড়ার জেরে ছয় মাস আগে নাছিমা আক্তার সন্তানকে রেখে বাবার বাড়িতে চলে যান। দুই মাস আগে তিনি রবিনের ঠিকানায় ডিভোর্স লেটার পাঠান। তবে পরিবারের সদস্যরা বিষয়টি রবিনকে জানাননি।
ঈদের ছুটি শেষে কর্মস্থলে যোগদানের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র খুঁজতে গিয়ে হঠাৎ করে ডিভোর্স লেটারটি দেখতে পান রবিন। এরপর থেকেই তিনি মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন। শনিবার বিকেল থেকে তাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। রোববার সকালে বাড়ির পাশেই গাছে তার মরদেহ ঝুলতে দেখা যায়।
রবিনের ভাই আশরাফুল ইসলাম শাওন জানান, “দীর্ঘদিন ধরেই ভাই ও ভাবির মধ্যে দাম্পত্য কলহ চলছিল। দুই মাস আগে ভাবি ডিভোর্স লেটার পাঠান। বিষয়টি আমরা গোপন রেখেছিলাম। তবে দুদিন আগে ভাই তা দেখে ভেঙে পড়েন।”
চৌদ্দগ্রাম থানার ওসি মোহাম্মদ হিলাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, “মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে এটি আত্মহত্যা বলেই ধারণা করা হচ্ছে। বিস্তারিত রিপোর্ট পেলে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।”