
ঠাকুরগাঁও সদরের ভুল্লী বাজারে ওষুধ কিনতে গিয়ে এক গৃহবধূ সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর স্বামী বাদী হয়ে শুক্রবার (২২ আগস্ট) রাতে থানায় মামলা দায়ের করেন। পুলিশ রাতেই অভিযান চালিয়ে দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে।
পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) দুপুরে ভুল্লী এলাকার কুমারপুর কলেজপাড়ার ইসরাত জাহান নাসরিনের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন—ভুল্লী কুমারপুর এলাকার ক্ষেণপাড়া গ্রামের মৃত জামাল উদ্দীনের ছেলে হামিদুর রহমান (৫২) ও কলেজপাড়ার মো. নাসির উদ্দীনের মেয়ে ইসরাত জাহান নাসরিন (২৩)। অপর অভিযুক্ত জাহেরুল ইসলাম (৪৮) এখনো পলাতক রয়েছেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ভুক্তভোগী কিছুটা মানসিক সমস্যায় ভুগছিলেন। সেই সুযোগে প্রতিবেশী হামিদুর রহমান ও জাহেরুল ইসলাম প্রায়ই তাকে কু-প্রস্তাব দিত। গত মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে ওই গৃহবধূ ওষুধ কিনতে ভুল্লী বাজারে গেলে অভিযুক্তরা তাকে জোরপূর্বক একটি অটোরিকশায় তুলে খোশবাজারে নিয়ে যায়। সেখান থেকে মোটরসাইকেলে করে বালিয়া ইউনিয়নের জ্বীনের মসজিদ এলাকায় নিয়ে যাওয়া হয়।
পরে জাহেরুল ইসলাম ভিকটিমকে একটি অটোভ্যানে করে কুমারপুর কলেজপাড়ার ইসরাত জাহান নাসরিনের বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে নাসরিনের সহায়তায় হামিদুর ও জাহেরুল পালাক্রমে ওই গৃহবধূকে ধর্ষণ করে।
ঘটনার পর গৃহবধূ বাড়ি ফিরে স্বজনদের বিষয়টি জানান। স্বামী বাসায় না থাকার সুযোগে অভিযুক্তরা ঘটনাটি আপসে মীমাংসা করার চেষ্টা চালায়। তবে ভুক্তভোগী ও তার স্বামী রাজি না হয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
ভুক্তভোগীর স্বামী বলেন, “আমি কাজের জন্য কুমিল্লায় থাকি। সেই সুযোগে তারা আমার স্ত্রীর সঙ্গে এ জঘন্যতম কাজ করেছে। এর পরেও কিছু লোক আপসের প্রস্তাব দেয়। আমি আসামিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।”
এ বিষয়ে ভুল্লী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাইফুল ইসলাম সরকার বলেন, “ঘটনার অভিযোগ পাওয়ার পরপরই পুলিশ অভিযান চালিয়ে দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে। পলাতক আরেক আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।”