কুমিল্লার তিতাসে ৭ বছরের শিশু সায়মন হত্যার দায়ে একজনকে মৃত্যুদণ্ড ও শিশুটির চাচিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
বুধবার (২০ আগস্ট) দুপুরে কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ চতুর্থ আদালতের বিচারক সাব্বির মাহমুদ চৌধুরী এ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার সময় দুই আসামিই আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
বাদীপক্ষের আইনজীবী মো. ইকরাম হোসেন জানান, ২০২৩ সালের ১৬ আগস্ট বিকেলে শিশু সায়মন বাতাকান্দি বাজার থেকে কোমলপানীয় কিনে ফেরার পথে নিখোঁজ হয়। পরদিন তার পরিবার তিতাস থানায় সাধারণ ডায়েরি করে। এর তিন দিন পর বজলুর রহমানের বালুর মাঠের ঝোপ থেকে সায়মনের অর্ধগলিত পোড়া মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় সায়মনের মা খোরশেদা আক্তার চাচি শেফালী বেগমসহ অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্তে উঠে আসে শেফালী বেগম ও বিল্লাল পাঠানের সম্পৃক্ততার বিষয়টি। পরে তাদের গ্রেপ্তার করে আদালতের নির্দেশে কারাগারে পাঠানো হয়।
১৫ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত বিল্লাল পাঠানকে মৃত্যুদণ্ড ও এক লাখ টাকা জরিমানা এবং শেফালী বেগমকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা জরিমানা করেন। এছাড়া লাশ গুমের অভিযোগে তাদের আরও পাঁচ বছরের কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
আইনজীবী ইকরাম হোসেন বলেন, আসামি শেফালী বেগম ও বিল্লাল পাঠানের মধ্যে অনৈতিক সম্পর্ক ছিল। শিশু সায়মন এ ঘটনা দেখে ফেলায় তাকে হত্যা করে লাশ গুম করা হয়।
সায়মনের মা খোরশেদা আক্তার বলেন, “আমি এই রায়ে সন্তুষ্ট। তবে রাষ্ট্রের কাছে আমার সন্তানের হত্যাকারীদের শাস্তি দ্রুত বাস্তবায়নের দাবি জানাই।”